WELCOME TO NANDAIL NEWS - REFLECTION OF TIME - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ - সময়ের প্রতিচ্ছবি - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ -সময়ের প্রতিচ্ছবি - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ - সময়ের প্রতিচ্ছবি - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ -সময়ের প্রতিচ্ছবি - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ - সময়ের প্রতিচ্ছবি - স্বাগতম- নান্দাইল নিউজ - সময়ের প্রতিচ্ছবি

রবিবার, ডিসেম্বর ০৯, ২০১২


বেদেদের সংগ্রামী জীবন যাপন

নান্দাইল নিউজ ডেক্স:
'এই মাজা টানি, বাতের বিষ নামাই'লাগব নাকিএভাবেই বলতে বলতে চললেন চল্লিশোর্ধ্ব এক বেদেএক কাঁধে একটি ব্যাগঅন্য কাঁধে কাপড় দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা একটি বাচ্চাহাতে একটি ছোট্ট কাঠের সিঙ্গাকাছে গিয়ে নাম জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ক্ষ্যাপা সুরে বলে উঠলেন-ওই মিয়া নাম দিয়া কাম কি? আগে দশটা ট্যাকা (টাকা) দিনপরে নাম কমু (বলব)টাকা বের করে দিতেই নামটা গল গল করে বলে দিল 'হামার নাম মর্জিনা'থাকেন কোথায়মর্জিনার সহজ-সরল উত্তরমেঘনা নদীর পাড়েওই দ্যাহেন (দেখেন) এখানে দাঁড়িয়ে নৌকা দেখা যায়ওখানেই বাইদ্যারা (বেদে) বাস করি
 
মর্জিনার মতো আরও অনেক বেদে আছেন যারা এভাবেই রাস্তায় রাস্তায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবচ, সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেকিন্তু যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে মানুষ এখন আর ঝাড়ফুঁক, কবচ-তাবিজে বিশ্বাসী নয়তাই এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় বেদেদেরবেঁচে থাকার তাগিদে তারা এ পেশাকেই আকড়ে ধরে আছেনরোগ-শোক তাদের নিত্যসঙ্গীতাবিজ-কবচই তাদের একমাত্র চিকিৎসাআর শিক্ষা কি তা তারা এখনো ঠিকমতো বোঝেন না

বেদেদের জীবনযাত্রা :
 ভবঘুরে জীবন বেদেদেরনৌকায় নৌকায় এখানে ওখানে গিয়ে জীবনযাপন করেতাদের স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেইসাপ খেলা দেখিয়ে আর তাবিজ-কবচ বিক্রি করে চলে তাদের জীবিকামেঘনা নদীর চঞ্চল স্রোতধারা থেকে একটি শাখানদী বেরিয়ে এসে সোনারগাঁওয়ের ভাটিবন্দর রঘুভাঙ্গা এলাকায়এখানে নৌকার ওপর বসতি স্থাপন করেছে বেদে সম্প্রদায়এখানে রয়েছে ১২টি বেদের নৌকাতারা এখানে রয়েছে প্রায় এক বছর যাবৎ

বেদে পল্লীর জাছু (৩০) বললেন, এখন মানুষ আর সাপের খেলা দেখতে চায় নাসাপ দিয়ে ভয় দ্যাহাইয়া (দেখিয়ে) ট্যাহা (টাকা) পয়সা আনি

আপনার সাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আনেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুমাইয়া বললেন, তা নইলে (না হলে) দেবে নাএ বেদে পল্লীর আরেকজন মহুয়া বললেন, হামার (আমরা) কি করি, কি আই তা দ্যাহনের (দেখার) মানুষ কই (কোথায়)আমাদের জীবন আর চলে নাঈশ্বরও বুঝি আমাদের দিকে আর খেয়াল রাখতে পারছেন নাসাত/আট বছরের এক বেদে শিশু এ প্রতিবেদকের কাছে এসে বলল, স্যার, আপনি ছবি তুলেন ক্যান (কেন)আমাগো কোনো উপকার হবো (হবে)নাম জিজ্ঞাসা করতেই বলল, হাসিসত্যিই হাসির মুখে যেন হাসি লেগে আছেস্কুলে যাও কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাসি একটু ভেবে বলল, হামারা (আমরা) খাইতে (খেতে) পারি না, পরনের কাপড় জোটে না, স্কুলে যাব ক্যামনেপড়ালেখা কইরা (করে) আমরা কি হরমু (করব), আমাদের সবাই ঘেন্না (ঘৃণা) করে


বেদে সরদার মোতালিব বলেন, আমাদের ছবি তুলে লাভ কি? অনেক সাংবাদিক এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে নাকেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় নাআমরা নিচু জাত বলে সবাই ঘৃণা করে

পুরনো নীতি অনুযায়ী এখনো চলছে বেদেদের বিয়েবিয়ের আগ মুহূর্তে বরকে গাছের মগডালে উঠিয়ে কনেকে গাছের নিচে রাখা হয়এ সময় বর গাছের উপর থেকে চিৎকার করে কনেকে বলে আমি গাছ থেকে পড়ে মারা গেলামতখন কনে উচ্চৈঃস্বরে বরকে গাছ থেকে নেমে আসতে বলেতুমি গাছ থেকে পড়ে মরে (মারা) যেও নাঅমি তোমাকে সারাজীবন খেটে খাওয়াবতখনই বর গাছ থেকে নেমে আসেএই হলো বেদেদের বিচিত্র বিয়েতবে তাদের বিয়েতে এখনো যৌতুক প্রথা চালু রয়েছেকনে পক্ষকে বর পক্ষ যৌতুক দিতে হয়বিয়ের পরেই নববধূ নেমে পড়েন জীবিকার সন্ধানেএকপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, বিরামহীন ছুটে চলা অন্নের সন্ধানেআর স্বামী থাকেন নৌকায়তবে তাদের বিয়ে নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধএখনো আদিমকালের মতোই তাদের বাল্যবিয়ের প্রচলন রয়েছেমেয়ের ভরণপোষণের অভাবে তাড়াতাড়ি পাত্রস্থ করেনযে বয়সে তাদের বই-খাতা নিয়ে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা তখন তারা স্বামীর ঘর করেন১৩-১৪ বছর বয়সেই সন্তানের মা হনভোগেন অপুষ্টিতেদুই সন্তানের জননী রাকিয়া (১৭) বললেন, আমার ১৪ বছর বয়সে বিয়া অইছে (হয়েছে)মা-বাবা ভরণপোষণের অভাবে বিয়া দিছেআমার স্বামী আরেকটা বিয়া করছে


অশিক্ষা তাদের জীবনকে এখনো আকড়ে ধরে আছেশিক্ষা কি তারা বলতে পারে নামনে হয় তারা এখনো আদিম যুগে বসবাস করছেআসলে মাটিতে দখল নেই বলেই তাদের জীবন নদীতে ভাসমানভাটিবন্দর রঘুভাঙ্গায় মেঘনা নদীতে মোট ১২টি নৌকার পাশাপাশি রেখে সংসার পেতেছে বেশ কিছু বেদেএ সময় তাদের ভেতর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আসেন স্থানীয় একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসুবর্ণগ্রাম নামে এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তরুণ ও শিক্ষাদানপ্রয়াসী শায়েদ কায়েস কয়েকটি বেদে পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেনতাদের বুঝালেন, সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোটা খুব জরুরিতাদের স্কুলে পাঠানো বাবা-মা হিসেবে দায়িত্ববেদেদের কেউই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে তেমন উৎসাহ দেখালেন নাতবে শাহেদ কায়েস থামলেন নাতিনি ভাটিবন্দর রঘুভাঙ্গায় বেদে বহরের ওপর প্রতিষ্ঠা করলেন 'বেদেবহর পাঠশালা'সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি নৌকার ছইয়ে বেদেবহর ভাসমান পাঠশালার একটি সাইনবোর্ড লাগানোআর নৌকার পাটাতনের উপরের দিকে কাঠের তকতা বিছানোতার উপরে বসে ১৬ জন বেদেশিশু শিক্ষিকার কাছ থেকে সমস্বরে বই থেকে বাংলা ভাষা পাঠগ্রহণ করছেএখানে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেন দুজন শিক্ষক

এ শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈতনিকশিক্ষিকা হেমা আক্তার বলেন, বাংলা ভাষায় শিক্ষা শেষ হলে আমি তাদের ইংরেজি পাঠ শিখাই, শেখাই অঙ্কের সরল পাঠ, সংখ্যা গণনা, নামতা ও হিসাব নিকাশ, যেন তারা জীবনের পথটা একজন বুঝবান মানুষের মতো ঠিকঠাক বুঝে শুনে পাড়ি দিতে পারেএ ব্যাপারে শাহেদ কায়েস  জানান, বেদেবহরের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করতে পারলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবেসোনারগাঁও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, শুনেছি শাহেদ কায়েস নামের এক তরুণ বেদেবহরের ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করার জন্য চেষ্টা করছেন

(সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন)

রবিবার, নভেম্বর ০৪, ২০১২


07 Oct 2012   06:51:22 PM   Sunday BdST Print this E-mail this

‘প্রেম’ঘটিত অন্যরকম একটি সমস্যা!


শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নান্দাইল প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নান্দাইল(ময়মনসিংহ): জোছনা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল কাদিরের নিজের ভিটেবাড়ি নেই। অন্যের জায়গায় ছাপড়া ঘর তুলে নান্দাইল উপজেলার দশালিয়া গ্রামে বসবাস। পেশায় আব্দুল কাদির কৃষি শ্রমিক। মাঝে মধ্যে ইটভাটায় শ্রম বিক্রি করেন। স্ত্রী জোছনাও সংসারের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ফুটপরমাশের কাজ করতেন। এভাবে সুখে-দুঃখে চলে যাচ্ছিল তাদের।

এই দম্পতির তিনটি সন্তান। বড় মেয়ে সালমা। বয়স ৬বছর। তারপর দুই ছেলে ইব্রাহিম, বয়স ৪বছর, ইসমাইলের বয়স দেড় বছর।
স্বামী-স্ত্রীর মতোই মেয়ে সালমা স্বাভাবিকভাবে ভূমিষ্ঠ হলেও দুই ছেলের জন্ম হয়েছে ধবল শরীর নিয়ে। এ কারণে কাদির-জোছনা দম্পতির দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে ডিঙ্গিয়ে জোছনা ও তার সন্তানদের জন্য সীমাহীন কষ্ট এনে দিয়েছেন আব্দুল কাদির।

গত ২৬ আগস্ট কাদির তার পুরনো প্রেমিকা ১ সন্তানের জননী রহিমা আক্তারকে(২৫) নিয়ে পালিয়েছেন।

এরপর থেকে জোছনা তার অবুঝ সন্তানদের নিয়ে নিত্যদিন প্রায় উপোসে কাটাচ্ছেন। সংসারে আর কোনো উপার্জনক্ষম লোক না থাকায় চুলোয় আর আগুন জ্বলানো সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ধবল দুই সন্তান ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে রেখে কোনো কাজেও যেতে পারছেন না।

অপরদিকে, কাদিরের প্রেমিকা রহিমাও তার একমাত্র সন্তান সাব্বিরকে(৫) রেখে গেছে। সাব্বিরকে এখন নানী হাদিসা বেগম দেখাশোনা করছেন।

রহিমা সম্পর্কে কাদিরের (৩৮) মামাতো বোন। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার রয়াইল এলাকার রহমত আলীর ছেলে জাসদের সাথে বিয়ে হয়েছিল রহিমার।  

নানী হাদিসা জানান, নাতী সাব্বির অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকলেও হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়লে দৌঁড়ে এসে ঘরে গিয়ে কান্না জুড়ে দেয়। তিনি বলেন, মায়ের কাজ কি অন্যদের দিয়ে হয়?

প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন (৩৮) জানান, জোছনার ছেলেরা রোদে বের হতে পারে না। কিছুক্ষণ রোদে থাকলে শরীরে আগুনে পোড়ার মত ফোসকা পড়ে যায়।

আব্দুল কাদিরের বোন সখিনা বেগম(৩৬) বলেন, জোছনা সন্তানদের নিয়ে আধাপেটা অবস্থায় রয়েছে। প্রথম প্রথম গ্রামের লোকজন কিছুটা সহায়তা করলেও এখন তেমন করছে না। কে কার সংসার চালাবে বলেন?

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সখিনা বলেন, কাদির-রহিমার অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তিনটি পরিবারে দুরস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
Nandail-Pic
এ ঘটনার পর জাসদ কয়েকদিন তার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে স্ত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। এখন তিনিও বাড়ি চলে গেছেন।

জোছনা বেগম বলেন, এখন আমি কি করব? সন্তানদের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে পারছি না। নিজেও খাইতে পারছি না। ওদেরকে কার কাছে রেখে অন্যের বাড়িতে যাব কাজ করতে? এ অসহায় অবস্থার মধ্যে নিজে মরতেও পারছি না সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করে। আমি না থাকলে ওদের কী হবে?

এদিকে, কাদির-রহিমার পলায়নের ঘটনায় রহিমার বাবা সঞ্জু মিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর নান্দাইল মডেল থানায় তার মেয়ে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা (নং ৩৯) দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে অভিযোগের তদন্তকারী নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।

পুনশ্চ: কেউ কেউ হয়তো ৩ সন্তানের জনক কাদির আর ১ সন্তানের জননী রহিমার এই সংসার-ভাঙ্গা প্রণয়ে ‘অসাধারণ প্রেমের’ উপাখ্যান খুঁজে পেতে পারেন; কিন্তু প্রশ্ন হলো, জোছনা ও তার অবুঝ সন্তান বিশেষ করে ধবল-রোগে আক্রান্ত দু’টি অবুঝ সন্তানের কী অপরাধ ছিল এখানে? 

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর

সোমবার, জুলাই ০৯, ২০১২


08 Jul 2012   04:50:14 PM   Sunday BdST Print this E-mail this

রায়হানের উদ্ভাবন

মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স লোড করার আধুনিক যন্ত্র


শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): চারদিকের দুনিয়া এখন সদাব্যস্ত। মোবাইল-ইন্টারনেটনেটের সন্তরণশীল জাল ক্রমশ সমগ্র বিশ্বকে গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করে চলেছে। এর সঙ্গে দ্রুত তাল মিলিয়ে প্রতিদিন লাখো-কোটি মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট লাইনে একাউন্ট রিচার্জ করতে গিয়ে গ্রাহকদেরকে সমস্যা পোহাতে হয়। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত রিচার্জ ডিলাররাও থাকে মহাব্যস্ত। ভিন্ন ভিন্ন অপারেটরের জন্যে তাদেরকে একাধিক মোবাইল সেট ব্যবহার করতে হয়।

এসব সমস্যার চটজলদি এবং একটিমাত্র ডিভাইসে সমাধান করেছেন ময়মনসিংহের তরুণ গবেষক রায়হান উদ্দিন সরকার। একসাথে একাধিক অপারেটরের মোবাইল ফোনের একাউন্ট রিচার্জের আধুনিক এক প্রযুক্তিগত নকশা উদ্ভাবন করেছেন তিনি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক ইচ্ছে করলে নিজেই তার ফোনের একাউন্ট রিচার্জ করে নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

গবেষক রায়হান উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে জানান, রিচার্জ সেন্টারগুলোর ব্যস্ততা কমানোর জন্যে সহায়ক এ প্রযুক্তিতে গ্রাহকরা সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন। এখন যেমন মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করতে হলে নির্দিষ্ট দোকানে রক্ষিত টালি খাতায় ফোন নাম্বার ও টাকার পরিমাণ লিখে দিতে হয়। এরপর দোকানদার ফোনের সেই নাম্বার ও টাকার পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করে রিচার্জের জন্য এসএমএস পাঠান। কিন্তু রায়হানের উদ্ভাবন করা প্রযুক্তিতে গ্রাহক সরসরি দোকানে রক্ষিত কি-বোর্ডের মাধ্যমে নিজের সেল নাম্বার ও টাকার পরিমাণ টাইপ করে দেবেন। আর দোকানদার শুধু তা সেন্ড করে দেবেন। এতে একটি মেশিনেই সবগুলো অপারেটরের রিচার্জ সেবা দেওয়া যাবে।

রায়হান জানান, বিভিন্ন ফোন কোম্পানির সিম কার্ড একত্রে এক মেশিনে ব্যবহার করে রিচার্জ (মোবাইল একাউন্টে টাকা লোড করার পদ্ধতি) সেবা প্রদান করার পদ্ধতি এখনও সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। উন্নত দেশগুলোতে মোবাইল ফোন একাউন্ট রিচার্জ করার অগ্রসর প্রযুক্তি থাকলেও তৃতীয় বিশ্ব তথা বাংলাদেশে মোবাইল ফোন রিচার্জ করার একক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনও পদ্ধতি নেই বললেই চলে।

তিনি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মডেলটি নিয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ ও গৌরীপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের কমপক্ষে শতাধিক মোবাইল রিচার্জ সেন্টারে গিয়ে প্রায়োগিক পরীক্ষা চালিয়েছেন। সেবক ও গ্রাহকদের মধ্যে বর্তমান রিচার্জ পদ্ধতি ও তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির রিচার্জ বিষয়ে মতামত জরিপ করেছেন।

রির্চাজ মেশিনটির বৈশিষ্ট্য: সহজে মেশিনটি ব্যবহারের জন্যে রয়েছে চমৎকার অপারেটিং ব্যবস্থা। কম্পিউটারের মনিটরের মতো এ মেশিনে রয়েছে একটি চমৎকার ডিসপ্লে। পরিচালনার জন্যে রয়েছে একটি কী-বোর্ড।

রায়হান জানান, প্রত্যেক ফোন অপারেটরের নাম ও লোগো মেশিনটির ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। এমনকি টাকার পরিমাণও দেখা যাবে। গ্রাহক তার মোবাইল নম্বর ও রিচার্জের পরিমাণ কী-বোর্ডের বোতাম টিপে প্রবেশ করিয়ে সেবা প্রদানকারীকে জানিয়ে দিবে। সেবা প্রদানকারী গোপন কোড নম্বর দিয়ে একাউন্ট রিচার্জ সম্পন্ন করে দেবে। নিয়মিত গ্রাহক ইচ্ছে করলে মেশিনটিতে নিজের মোবাইল নম্বর ও ছবি সংরক্ষণ (সেভ) করে রাখতে পারবে। মেশিনটি ব্যাটারিতেও চালানো যাবে। এতে আছে একত্রে বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির সিম রাখার জন্যে একটি সিম বক্স বা মাল্টি মডেম।
কথা বলার ক্ষেত্রেও যন্ত্রটি ব্যবহার করা যাবে। এর দরকারি সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইনস্টলেশন করে কম্পিউটারেও মোবাইল রিচার্জ করা যাবে।

মেশিন ব্যবহারে সুবিধা: এই ধরনের একটি মেশিনে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে তাতে রিচার্জ সেবাদানকারী দোকানে একাধিক মোবাইল ফোন সেটের প্রয়োজন নেই। রেজিস্টার খাতা ব্যবহার ও হিসাব মিলানোরও প্রয়োজন নেই।

এ রিচার্জ মেশিন ব্যবহারে গ্রাহক ও সেবাদানকারীদের মধ্যে কোনো বিড়ম্বনা থাকবে না। কোন অভিযোগ থাকলে সাথে সাথে ফলাফলও দেখা যাবে। মোবাইল মেশিনে ১০টি সিমের সংযোগ থাকলে ১০টি সীমের টাকার পরিমাণ আলাদা আলাদা অথবা একত্রেও দেখানো সম্ভব। কতজনকে কী পরিমাণ রিচার্জ দেওয়া হয়েছে তাও দেখানো সম্ভব।

এ মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকের ছবি, নম্বর,  নাম সেভ করে  রাখলেও অল্প টাইপ করলে ডিসপ্লেতে ছবি, নম্বর, নাম ভেসে উঠবে। তাছাড়া এফএম রেডিও, ইন্টারনেট সংযোগ, একাধিক ফোন কেবিন তৈরি করে তারবিহীন হেডফোন সংযোগ, ভিডিও কনফারেন্স, কমপক্ষে এক মাসের তথ্য ও রেজিস্টার ডকুমেন্ট, আর্কাইভে সংরক্ষিত করে রাখা, ডেবিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড দ্বারাও মোবাইল রিচার্জ করা, ড্রাফ্ট অপশনে অটো মোবাইল রিচার্জ করা, এক সাথে একাধিক ফোনের রিচার্জ করে মনিটরে সাথে সাথে হিসেব দেখা অথবা হিসেব প্রিন্ট করে দেখা ইত্যাদি যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব।
Raihan uddin sarkar
এ বিষয়ে গবেষক রায়হান উদ্দিন সরকার আরও বলেন, মোবাইল রিচার্জ সার্ভিস সেন্টারে এ ধরনের মেশিন থাকলে তুলনামূলক ভাবে সময়ের অপচয় ও পরিশ্রম কম হবে। কাজের শৃঙ্খলা থাকবে।  সঠিক হিসেব থাকবে এবং পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করার সুযোগ বাড়বে ।
গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, সিটিসেল, টেলিটক, এয়ারটেল ইত্যাদি কোম্পানি এগিয়ে এলে  মোবাইল ফোন রিচার্জ মেশিনটি দ্রুত বাজারজাত সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সন্তান রায়হান উদ্দিন সরকার একটি  ইংরেজি দৈনিকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত এ মেশিন তৈরিতে ল্যাব সহায়তা দিয়েছে ক্রিয়েটিভ অ্যাসোসিয়েশন ও এসিক অ্যাসোসিয়েশন নামে দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও ভোটার তালিকার ওপর গবেষণা করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার মডেল তিনিই প্রথম এদেশে তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করেন। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট  বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার বিষয়ে তার গবেষণার বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন-এ প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৬ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই, ২০১২
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বুধবার, এপ্রিল ১১, ২০১২


10 Apr 2012   08:55:40 PM   Tuesday BdST E-mail this

সর্বরোগ সংহারী লাউ!


শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নান্দাইল সংবাদাদাতা
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
  নান্দাইল(ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সুনামখালী গ্রামের একটি লাউ গাছের গোড়ায় ছোট, মাঝারি ও বড় আকৃতির অসংখ্য লাউ ধরেছে।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের কাছে বিষয়টি অতি সাধারণ। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এটিকে সর্বরোগ সংহারী ধন্বন্তরি ঠাউরে নিয়েছে এলাকার কুসংস্কারাচ্ছন্ন কিছু মানুষ।

তারা জটিল রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির আশায় ওই লাউ ধোয়া পানি পান করছে। শুধু তাই নয়; বালা-মুসিবত থেকে রেহাই পেতে লাউ গাছটির গোড়ায় রেখে যাচ্ছে নগদ টাকা-পয়সা!

সরজমিনে গেলে গাছটির মালিক নূরুল ইসলাম (৫৫) বাংলানিউজকে জানান, শীতকালে লাউ গাছটি তিনি রান্নাঘরের ভিটার কাছে রোপণ করেন। গাছটিতে শীত মৌসুমে লাউও ধরেছে।

তিনি জানান, শীত মৌসুম চলে যাওয়ার পর ওই গাছটির গোড়ায় থোকায় থোকায় অসংখ্য লাউ ধরে। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন গাছটি দেখতে আসছে।

এরমধ্যে কেউ কেউ এই লাউগুলোর উপর পানি ঢেলে তা পান করছে। অনেকে বোতলে করে নিয়েও যাচ্ছে লাউ ধোয়া পানি। আবার অনেকে লাউ গাছের গোড়ায় দুই-পাঁচ টাকা রেখে যাচ্ছে।

যদিও গাছের মালিক নূরুল ইসলামের স্ত্রী জায়েদা খাতুন (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোগব্যাধি হওয়ার ভয়ে এই লাউগুলো আমরা খাচ্ছি না’।

সুনামখালী গ্রামের মুর্শিদা আক্তার (৪০) বলেন, ‘জীবনে কোনোদিন দেখিনি গাছের গোড়ায় লাউ হয়। এই গাছে এতো লাউ ধরেছে, অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আমাদের নজির দেখাচ্ছেন। এই অলৌকিক লাউগুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো আমাদের উপকারেও আসতে পারে’।

শিবনগর গ্রামের হেলেনা আক্তার (৩৫) জানান, পাশের বাড়ির একজনের কাছে শুনে তিনি গাছটি দেখতে এসেছেন। বালা-মসিবত দূর হওয়ার জন্য তিনি গাছের গোড়ায় দুটো টাকা রেখেছেন বলে জানালেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘লাউয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ‘লেজেনারিয়া বালগারিজ’। এটি ‘কিউকার ভিটাসিয়া’ পরিবারের অন্তর্গত শীতকালীন সবজি এবং সহবাসী উদ্ভিদ’।

তিনি জানান, গাছে স্ত্রী, পুরুষ ও উভয় লিঙ্গ ফুল জন্মে। স্ত্রী ফুলের ডিম্বক গাছের গোড়া হতে যে কোনো স্থানে থাকতে পারে। পুরুষ ফুলের পরাগ নালিকা প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের যে অংশে স্ত্রী ফুলের ডিম্বক আছে, সেখানেই ডিম্বক ত্বক ভেদ করে নিষেক ক্রিয়া সম্পন্ন করে।

ফল হলো রূপান্তরিত গর্ভাশয়। যা নিষেকের পর বিকশিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি গাছের গোড়ায় সম্পন্ন হওয়ায় এই গাছের গোড়ায় অসংখ্য লাউ ধরেছে।   

নান্দাইল শহীদস্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওই লাউ ধোয়া পানি খাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ কুসংস্কার। উদ্ভিদ বিদ্যায় এটি স্বাভাবিক বিষয়’।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬, এপ্রিল ১০, ২০১২
শাহ্ আলম ভূঁইয়া / সম্পাদনা: রোকনুল ইসলাম কাফী, নিউজরুম এডিটর

বুধবার, মার্চ ২৮, ২০১২


28 Mar 2012   02:06:28 PM   Wednesday BdST
E-mail this

বুদ্ধিমানের বিপদ থাকে না


শাহ্ আলম ভূঁইয়া
নান্দাইল সংবাদদাতা
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : কারো দুরবস্থাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে দেশগ্রামের মানুষ সাধারণত বলে থাকেনঅভাগার গরু মরে...ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী গ্রামের কৃষক আবুল কাশেমের মরেছে একটি এঁড়ে বাছুর

পরিস্থিতিতে নিজেকে নিজেই হতভাগাসাব্যস্ত করে সান্ত্বনা খোঁজা ছাড়া আর কিছু করার ছিল নাকারণ, বাছুরবিহীন গাভীর দুধ দোহানো বন্ধ হয়ে গেছেএর কারণটা সবাই জানেন- সাধারণত নিজ সন্তানকে সামনে না দেখলে মা গরু দুধ দেয় না

গাভী দুধ দেওয়া বন্ধ করায় চোখে অন্ধকার দেখছিলেন হতদরিদ্র কাশেম পরিস্থিতিতে আবহমানকাল ধরে প্রচলিত কৌশল অবলম্বন করে মুখে হাসি ফুটেছে তারএখন গাভীটি প্রতিদিন নিয়মিত দুধ দিচ্ছে

কৃষক আবুল কাশেম (৩৫) বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন কেজি দুধ দেওয়া গাভীটি গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিয়ানোর (প্রসব) ২০ দিনের মাথায় মারা যায় তার বাছুরটিসঙ্গে সঙ্গে দুধ দেয়াও বন্ধ হয়ে যায়

এদিকে, ঋণ করে কেনা গরুর কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন কাশেমএমনি একপর্যায়ে চর্মকারের সহায়তায় মৃত বাছুরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলেনতারপর চামড়ার ভেতর খড় ঢুকিয়ে চারদিক সেলাই করে মোটামুটি মরে যাওয়া বাছুরটির একটি প্রতিরূপ (ডামি) খাড়া করলেনডামি বাছুরের পা দিয়েছেন বাঁশের খুটি দিয়ে এতেই হয়ে গেল কাজডামিটি দেখে গাভীটির সন্তান বাৎসল্য ফিরে এলএই ডামি বাছুরটি গাভী দোহানোর সময় পাশে রেখে তিনি দুধ দোহান সময় গাভীটি ডামির গায়ে চাটা দেয় (লেহন করে)

তবে আগে তিন কেজির মতো দুধ দোহানো যেতএখন দুই কেজির মতো পাইতারপরও ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই আমার রক্ষা হয়েছে কায়দায়’- হাসিমুখে বললেন আবুল কাশেম

আবুল কাশেমের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (৩০) বাংলানিউজকে জানান, দুধ দোহানোর সময় ডামিটি গাভীর সামনে রাখা হয়অন্য সময় ঘরের ভেতরে ঝুলিয়ে রাখা হয়যাতে শিশুসহ উৎসুক মানুষের হাতের ছোঁয়ায় কিংবা রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়ে যায়

চরভেলামারী বন্দের চরপাড়ার গ্রামের ঈমান আলী (৭০) বললেন, ‘কথায় বলে বুদ্ধিমানের বিপদ থাকে নাবুদ্ধি থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব, তা দেখিয়েছেন কৃষক আবুল কাশেম

প্রসঙ্গে যোগাযোগ করলে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক বেলালুর রহমান বাংলনিউজকে জানান, মাতৃত্ব অর্থাৎ সন্তান বাৎসল্যের কারণে সাধারণত প্রাণীদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপ্ত হয়এর ফলে পিটুইটারি গ্রন্থি (এক রকার অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি) প্রোল্যাকটিন হরমোন ক্ষরণ শুরু করেডামি বাছুরটি দেখে নিজের সন্তান ভেবে বা সন্তানের কথা মনে করে এই প্রোল্যাকটিন হরমোন ক্ষরণ হয় গাভীটিরআর সে সূত্রেই গাভীটি থেকে দুধ পাচ্ছেন আবুল কাশেম

বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৪ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ, ২০১২